প্রিয় অভিভাবক,
সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে জীবনের সব কষ্ট সয়ে নেন পিতামাতা। সন্তানের জন্য বিসর্জন দেন নিজের শত শখ-আহ্লাদ। কিন্তু যাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আপনি দিনের পর দিন খেটে যাচ্ছেন তাদের জীবনকে যে বিষিয়ে দেবার আয়োজন করা হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে - তা কি আপনি জানেন?
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আপনার আদরের সন্তানকে ভয়ঙ্কর বিকৃতির দিকে ঠেলে দেওয়ার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে খোদ পাঠ্যপুস্তকেই! জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড NCTB প্রণীত সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ৩৯-৪৪ পৃষ্ঠায় ‘শরীফার গল্প’ শিরোনামের লেখায় সরাসরি যৌন ও মানসিক বিকৃতির সবক দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এ গল্পে ‘শরীফা’ নামে একজন ব্যক্তি বলছে, ছোটবেলায় সে ছেলে ছিল। তার নাম ছিল শরীফ আহমেদ। আস্তে আস্তে সে যখন বড় হলো নিজেকে সে তখন মেয়ে ভাবতে শুরু করলো। মেয়েদের মতো আচরণ করতে লাগলো। এটাই নাকি তার ভালো লাগে। বইয়ের ৪০ নং পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে-
“আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে..."
৪২ এবং ৪৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,
‘আমরা যে মানুষের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখেই কাউকে ছেলে বা মেয়ে বলছি, সেটা হয়তো সবার ক্ষেত্রে সত্যি নয়।’
এ লেখাতে শিশুকিশোরদের শেখানো হচ্ছে- একজন মানুষের দেহ পুরুষের হলেও নিজেকে সে যদি নারী দাবী করে তাহলে সে নারী। আবার নারী দেহ নিয়ে জন্মগ্রহণ করা কেউ যদি নিজেকে পুরুষ দাবী করে তাহলে সে পুরুষ। চাইলেই লিঙ্গ পরিবর্তন করা যায়। যতোক্ষণ না অন্যের কোনো ক্ষতি হচ্ছে ততোক্ষণ যা খুশি তা-ই করা যায়। এই জঘন্য অবস্থানের বিরোধিতাকে বলা হচ্ছে সেকেলে, পশ্চাৎপদতা!
পাঠ্যপুস্তকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যা শেখানো হচ্ছে তা আসলে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমদানী করা ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদ (Transgenderism)।
ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদ কী?
মানবাধিকারের নামে সমকামিতাসহ বিভিন্ন বিকৃত যৌনতার বৈধতা দেয়ার অত্যন্ত শক্তিশালী একটি আন্দোলন আছে পশ্চিমা বিশ্বে। এই আন্দোলনের নাম এলজিবিটি (LGBT Rights Movemement)। ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদ এই আন্দোলনেরই অংশ।
LGBT-এর প্রতিটি অক্ষরের নির্দিষ্ট অর্থ আছে-
L= Lesbian(নারী সমকামী)
G= Gay (পুরুষ সমকামী),
B=Bisexual বাইসেক্সুয়াল (উভকামী)
T= Transgender/ট্র্যান্সজেন্ডার (নারী সাজা পুরুষ বা পুরুষ সাজা নারী)
এই এলজিবিটি আন্দোলনের মাধ্যমেই আজ পশ্চিমা বিশ্বে সমকাম, পুরুষে পুরুষে ‘বিয়ে’সহ নানাবিধ বিকৃতির বৈধতা দেয়া হয়েছে। আর আজ আপনার সন্তানদের পাঠ্যবইতেও এসব বিকৃতির পাঠ দেওয়া হচ্ছে আপনার অজান্তে।
ট্র্যান্সজেন্ডার নামক বিকৃত মতবাদের প্রধান দাবিগুলো হল-
ক। মানুষের পরিচয় নির্ভর করে তার অনুভূতি আর মনের চাওয়ার উপর। নিজেকে সে যা মনে করে সেটাই তার পরিচয়। জন্মগত দেহ যা-ই হোক না কেন, নিজেকে যে নারী দাবি করবে তাকে নারী বলে মেনে নিতে হবে। যদিও তার মাসিক হয়, সে গর্ভবতী হয়, শারীরিকভাবে সে থাকে শতভাগ সুস্থ। নিজেকে যে পুরুষ দাবি করবে তাকে আইনী ও সামাজিকভাবে মেনে নিতে হবে পুরুষ হিসেবে।
খ। মানুষ ইচ্ছেমতো নারী বা পুরুষের পোশাক পরবে, ইচ্ছেমতো ওষুধ আর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজের দেহকে বদলে নেবে। কেউ যদি অস্ত্রোপচার না করেই নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের বলে দাবি করে, তাও সবাইকে মেনে নিতে হবে।
গ। এ সকল উদ্ভট দাবীর ব্যাপারে রাষ্ট্র ও সমাজ কোনো বাঁধা দিতে পারবে না। বরং মানবাধিকারের নামে ‘সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী’ হিসেবে এ ধরনের মানুষকে দিতে হবে আপনার ট্যাক্সের টাকায় বিশেষ সুবিধা। সেই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একদম ছোটবেলা থেকে সবাইকে শেখাতে হবে যে, মানুষের মনটাই গুরুত্বপূর্ণ; দেহ না।
ঘ। এ মতবাদের অবধারিত ফলাফল হলো সমকামিতা ও বিকৃত যৌনতা। এগুলোকেও অধিকারের নামে মেনে নিতে হবে, স্বীকৃতি দিতে হবে।
এ মতবাদের স্বীকৃতি দেয়ার অর্থ রাস্তার একজন লম্পট ছেলে নিজেকে মেয়ে দাবী করে আপনার মেয়ের পাশাপাশি বসে ক্লাস করতে পারবে। একই টয়লেট, একই কমনরুম ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। হোস্টেলে বা হলে থাকতে পারবে একই রুমে। কোন সুস্থ সমাজ কি এমন অবস্থা মেনে নিতে পারে?
ট্র্যান্সজেন্ডার এবং জন্মগত হিজড়া আলাদা
মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে ট্র্যান্সজেন্ডারদের হিজড়া হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। জন্মগত হিজড়াদের ব্যাপারে থাকা সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে বিকৃত যৌনতাকে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। ট্র্যান্সজেন্ডার এবং জন্মগত হিজড়া সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
- অভিধান অনুযায়ী হিজড়া শব্দের ইংরেজি ট্র্যান্সজেন্ডার নয়, বরং Hermaphrodite বা Intersex। জন্মগতভাবে তাদের শরীরে কিছু ত্রুটি থাকে
- ট্র্যান্সজেন্ডার হলো শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের এক ধরণের মানসিক বিকৃতি, এরা সমকামিতায় আসক্ত
- মেডিকেল টেস্টের মাধ্যমে একজন মানুষ জন্মগত হিজড়া কিনা তা সনাক্ত করা যায়, কিন্তু ট্র্যান্সজেন্ডার নিছকই মনের দাবী।
ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদের অপর পিঠ হল সমকামিতা। বাংলাদেশে যারা নিজেদের ট্র্যান্সজেন্ডার বলে দাবি করছে, তাদের সমকামীতার লিপ্ত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট। দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শারমিন আক্তার ঝিনুক ওরফে জিবরান সওদাগর নামে এক নারীর বক্তব্য দেয়া হয়েছে। এই নারী নিজেকে ট্র্যান্সজেন্ডার বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার বক্তব্য[1]-
“...‘আমি ছিলাম নারী। মাসিক হওয়াসহ সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু যত বড় হচ্ছিলাম, বুঝতে পারছিলাম আমি পুরুষদের চেয়ে নারীর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছি। একটা সময় একজন মেয়ের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক হয়। চার বছর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই মেয়ে চলে যাওয়ার পর মনে হয়, আমি পুরুষ হলে তো ও এভাবে চলে যেতো না।…”
এ বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে শারমিন আক্তার ছিল শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নারী। আরেকজন নারীর প্রতি তার বিকৃত কামনা ছিল। এই কামনাকে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সে নিজেকে ‘পুরুষে রূপান্তরিত’ করেছে, অর্থাৎ নিজেকে ট্র্যান্সজেন্ডার দাবি করছে। এখন আবদার করছেন আইন ও সমাজ তাকে যেন মেনে নেয় পুরুষ হিসেবে। এটি স্পষ্ট সমকামীতা এবং বিকৃতি ছাড়া আর কী?
এ অপরাধের কারণে মহান আল্লাহ, নবী লূত আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়কে ভয়ঙ্কর শাস্তি দিয়েছেন যা পবিত্র কুরআনে আমাদের জানানো হয়েছে। অথচ এই মতবাদ আজ আপনার শিশুকে শেখানো হচ্ছে পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে!
বাংলাদেশে সরাসরি সমকামিতার পক্ষে কর্মকাণ্ড চালানো যেহেতু কঠিন তাই, জন্মগত হিজড়াদের প্রতি সমাজের মানুষের সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ট্র্যান্সজেন্ডার নামে চলছে অপতৎপরতা। মানবাধিকারের নামে চলছে বিকৃতির প্রচার ও প্রসার। ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদের প্রসারে সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করছে, এদের প্রায় সবাই সমাজে সমকামিতার প্রচার ও প্রসারেও কাজ করেছে কিংবা করছে।[2]
এই ষড়যন্ত্রের পেছনে আছে পশ্চিমা বিশ্ব ও দাতাদের মদদপুষ্ট বিভিন্ন দেশীয় এনজিও। বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ, নো পাসপোর্ট ভয়েস, ব্র্যাকের অধীনে পরিচালিত সমতন্ত্র ইত্যাদি। সমকামিতা আন্দোলনের সাথে তাদের সম্পর্কের কথাও নিজস্ব ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে উল্লেখ করেছে তারা।[3]
পাশাপাশি ইতিবাচক সংবাদ, সাক্ষাৎকার, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নারী সাজা পুরুষদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে নীতিহীন দেশীয় নিউজ মিডিয়া ও বিনোদন জগত। সবচেয়ে আশংকাজনক ব্যাপার হল, রীতিমতো আইন প্রনয়ন করে বাংলাদেশে ট্র্যান্সজেন্ডারবাদ তথা সমকামি এজেন্ডা প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া চলমান।
দৈনিক ইত্তেফাকে ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একজন সরকারী কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে,
‘ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০২৩ ’শীর্ষক আইন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই পাস করা হবে বলে জানান সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ। তিনি বলেন, নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে পাস করারা জন্য আমরা কাজ করছি। (‘সম্পত্তিতে অধিকার পাবেন ট্রান্সজেন্ডার সন্তানরা’, দৈনিক ইত্তেফাক,৫.১২.২০২৩)
ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদ মেনে নেয়ার ফলাফলঃ
ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদ মেনে নেওয়ার পরিণতি হবে বিধ্বংসী। এর ফলাফল হবে,
- ঘৃণ্য সমকামি এজেন্ডার আইনী স্বীকৃতি
- নারী ও পুরুষের সীমারেখা মুছে ফেলা
- পুরুষের সাথে পুরুষের এবং নারীর সাথে নারীর ‘বিয়ে’-কে অর্থাৎ সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া
- নারীর জন্য নির্ধারিত স্থানে পুরুষের অনুপ্রবেশ
- কিশোরী ও নারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি বেড়ে যাওয়া
- নারীদের জন্য নির্ধারিত সুযোগ-সুবিধাগুলো পুরুষদের হাতে চলে যাওয়া
- উত্তরাধিকার সম্পত্তি বন্টনসহ পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে মারাত্বক সামাজিক বিশৃঙ্খলা
- পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়া
- বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের আলেমউলামাদের মতে ট্র্যান্সজেন্ডার এবং সমকামের মতো বিষয়গুলো মেনে নেয়া নৈতিক অধঃপতনের পাশাপাশি প্রজন্মকে নিয়ে যাবে জঘন্য হারাম এমনকি কুফরের দিকে।
এগুলো নিছক কল্পনা নয়। এমন ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে। নিজেকে নারী দাবি এক পুরুষকে সিট দেওয়া হয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে।[4] দেসের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আসন সংকটের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পায় না। অথচ সেখানে যৌন বিকারগ্রস্থ ট্র্যান্সজেন্ডারদের জন্য আলাদা কোটা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শিশুকিশোররা সহজে প্রভাবিত হয়, নতুন জিনিসের প্রতি তাদের থাকে সহজাত আগ্রহ। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোমলমতি কিশোরদের সামনে বিকৃতিকে স্বাভাবিক হিসেবে তুলে ধরছে সমাজ ও সভ্যতার শত্রুরা। বয়ঃসন্ধিকালে এমনিতেই নানা মনস্তাত্তিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। তার উপর লিঙ্গ নিয়ে পাঠ্যপুস্তকে এমন মগজধোলাই কিশোর কিশোরীদের বিপথগামী করবে। তাদের জীবন বিষিয়ে তুলবে। জন্ম নিবে নানা ধরণের অসুখ ও অসঙ্গতি।
সপ্তম শ্রেণীর বইতে বলা কথাগুলো সরাসরি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমদানী করা। যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য কারও ক্ষতি না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত যা খুশি করা যায় – এই মূলনীতির মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বে সমকামিতা, “সমকামি বিয়ে” থেকে শুরু করে ব্যভিচারসহ প্রায় সব ধরণের বিকৃত যৌনাচার ও জীবনাচরণকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। সকল মূল্যবোধ মুছে গেছে। পশ্চিমা বিশ্বের পরিবারগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। সারাজীবন সন্তানের জন্য আত্মত্যাগ করে যাওয়া পিতামাতাকে বুড়ো বয়সে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। আমরাও কি এমন সমাজ চাই?
বর্তমান বাস্তবতায় অভিভাবকদের দায়িত্বঃ
১। ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদের ভায়বহতা সম্পর্কে নিজে জানা এবং অন্যকে জানানো
২। ট্র্যান্সজেন্ডার ইস্যুর ভয়াবহতা সম্পর্কে সম্ভাব্য সকল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দল মত ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে সচেতন করা
৩। আপনার আদরের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা। কেউ যেন তার মগজধোলাই করতে না পারে। কেউ যেন তাকে মানসিক ও যৌন বিকারগ্রস্থ বানিয়ে তার জীবন নষ্ট করতে না পারে।
৪। পাঠ্যবইয়ে ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করা
আমেরিকা,পোলান্ডসহ অন্যান্য অনেক দেশে অভিভাবকেরা এই ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছেন। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাদেরও সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে।
প্রিয় অভিভাবক,
ট্র্যান্সজেন্ডার মতবাদ ইসলামবিরোধী, সমাজবিধ্বংসী। কিছু মানুষের বিকৃতির কারণে পুরো সমাজকে ধ্বংসের পায়তারা চলছে। যৌন বিকারগ্রস্থদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য আমাদের সন্তান, পুরো দেশ, পুরো সভ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই একজন সুস্থ,বিবেকবান,সচেতন মানুষ মেনে নিতে পারেন না।
অভূতপূর্ব এক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। কোমলমতি শিশু কিশোরসহ সমগ্র জাতিকেই এক মৃত্যুফাঁদে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সচেতন হতে হবে সবাইকেই…
[1] “নারী থেকে পুরুষ হয়েছেন তিনি, এখন জটিলতা বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরিতে, দৈনিক প্রথম আলো, ১৯.০৯.২০২৩
[2] কে হোচিমিন | Who is Hochemin, ইউটিউব, https://www.youtube.com/watch?v=g3OHBUGNi0Q
[3] Roundtable on LGBT movementঃ https://www.bracu.ac.bd/news/roundtable-lgbt-movement
A REVIEW REPORT ON COMPREHENSIVE SEXUALITY EDUCATION IN BANGLADESHঃ https://bracjpgsph.org/assets/pdf/research/research-reports/A%20Review%20Report%20on%20Comprehensive%20Sexuality%20Education%20in%20Bangladesh_July%202018.pdf
বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০২১ঃ https://www.bandhu-bd.org/public/upload/annual_reports_media_images/202308290940Annual-Report-2021-of-Bandhu.pdf
বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০২২ঃ
[4] ‘প্রতিদিন প্রার্থনা করতাম, ঘুম থেকে জেগেই যেন নিজেকে মেয়ে হিসেবে দেখতে পাই’, দৈনিক প্রথম আলো, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩, https://www.prothomalo.com/bangladesh/61dxb96kvh