[লেখাটি নেয়া হয়েছে এলজিবিটি আন্দোলন নিয়ে প্রকাশিতব্য (ইন শা আল্লাহ) বই 'অবক্ষয়কাল' থেকে]

আগের পর্ব

এবার ট্র্যান্সজেন্ডারবাদ দিয়ে বহুল প্রচলিত কয়েকটা প্রশ্নের দিকে তাকানো যাক। এ প্রশ্নগুলো নিয়ে অনেকেই যেহেতু সংশয়ে ভোগেন তাই আমরা সংক্ষেপে এগুলোর উত্তর জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো।

ট্র্যান্সজেন্ডার মানে কি হিজড়া?

আমাদের সমাজে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের ধারণা আছে। ট্র্যান্সজেন্ডারবাদের কথা শুনলে অধিকাংশ মানুষ মনে করেন এটা হয়তো হিজড়াদের অধিকার নিয়ে কোনো আন্দোলন। কিন্তু এ দুটো জিনিস একেবারেই আলাদা। আসুন পুরো ব্যাপারটা ভেঙে ভেঙে দেখা যাক, ঠিক কোন কোন জায়গাতে ভুলগুলো হচ্ছে।

মানুষ হয় পুরুষ অথবা নারী। যাদের দেহ শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি তারা পুরুষ, যাদের দেহ ডিম্বাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি তারা নারী। এটা শুধু বাহ্যিক 'যন্ত্রপাতি'র বিষয় না। পুরো প্রজননব্যবস্থার বিষয়।[1]

মানবজাতির মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক কিছু মানুষ আছেন যাদের প্রজননব্যবস্থা এবং যৌন বিকাশের ত্রুটি থাকে। বাহ্যিকভাবে তাদের দেহে জন্মগতভাবে নারী ও পুরুষ উভয়ের বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে। এধরনের মানুষকে বোঝাতে যে শব্দটা ব্যবহৃত হয় তা হলো ইন্টারসেক্স (Intersex) বা আন্তঃলিঙ্গ। বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ হিজড়া বলতে মূলত ইন্টারসেক্স বা আন্তলিঙ্গ মানুষদের বুঝিয়ে থাকে। সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী জনসংখ্যার মাত্র ০.০১৮% মানুষ ইন্টারসেক্স বা হিজড়া হন। ৯৯.৯৮২% মানুষ স্বাভাবিক শরীর নিয়ে জন্ম নেন।[2]

যে বিষয়টা আমাদের বোঝা দরকার তা হলো, ইন্টারসেক্স বা আন্তলিঙ্গ মানুষরা তৃতীয় কোনো লিঙ্গ না বা দুটোর মাঝামাঝি কিছুও না। তারাও নারী অথবা পুরুষ, তবে তাদের যৌন অঙ্গ, গঠন বা জিনগত কিছু ত্রুটি থাকে। যে কারণে এ ধরনের সমস্যাকে ডিসঅর্ডার অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট (ডিএসডি)-ও বলা হয়।[3]

যেমন, ধরা যাক একটি শিশুকে জন্মের সময় বাহ্যিকভাবে মেয়ে মনে হয়েছে, সেভাবেই সে বড় হয়েছে। কিন্তু বয়ঃসন্ধির সময় দেখা গেল তার মাসিক হচ্ছে না। তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়া হলো, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেল তার জরায়ু নেই, ফ্যালোপিয়ান টিউব নেই; বরং শরীরের ভেতরে অণ্ডকোষ আছে। তার শরীর পুরুষের হরমোন তৈরি করছে, তার শরীর শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি। ইনি একজন ইন্টারসেক্স পুরুষ, যার শরীরে বাহ্যিকভাবে নারীসুলভ কিছু চিহ্ন আছে।

অন্যদিকে নিজেদের ট্র্যান্সজেন্ডার দাবি করা লোকেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে আন্তলিঙ্গ বা ইন্টারসেক্স না। তাদের কোনো ধরনের ডিএসডি (ডিসঅর্ডার অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট) নেই। তাদের জন্ম হয়েছে সুস্থ এবং স্বাভাবিক যৌনাঙ্গ নিয়ে।

যারা নিজেদের ট্র্যান্সজেন্ডার নারী দাবি করে তারা পুরুষ। তাদের অণ্ডকোষ আছে, পুরুষাঙ্গ আছে, তাদের শরীরে আছে এক্সওয়াই ক্রোমোসোম। নিজেদের যারা ট্র্যান্সজেন্ডার পুরুষ বলছে তারা আসলে নারী। তাদের জন্ম জরায়ু, ডিম্বাশয়, যোনী এবং ফ্যালোপিয়ান টিউব নিয়ে। তাদের দেহে আছে এক্সএক্স ক্রোমোসোম। যারা সত্যিকার অর্থে আন্তলিঙ্গ তাদের খুব অল্প সংখ্যকই নিজেদের ট্র্যান্সজেন্ডার বলে দাবি করে।

লিঙ্গ পরিবর্তন সার্জারির মাধ্যমে কী ধরনের ‘রূপান্তর’ হয়?

আমাদের মধ্যে একটা ধারণা আছে, ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’ সার্জারির মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষ বা পুরুষ থেকে নারী হওয়া যায়। মিডিয়াগুলোকে এ ধরনের খবর প্রচার করতে দেখা যায় খুব আগ্রহ নিয়ে। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। তথাকথিত লিঙ্গ পরিবর্তন সার্জারির মাধ্যমে কেউ আসলে পুরুষ থেকে নারী বা নারী থেকে পুরুষ হয় না। এগুলো মূলত এক ধরনের কসমেটিক সার্জারি। এ ধরনের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেবল বাহ্যিকভাবে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এগুলো দিয়ে পুরো প্রজননব্যবস্থা বদলায় না।

যার জন্ম হয়েছে নারী হিসেবে, শত অস্ত্রোপচার করা হলেও তার শরীর বীর্য উৎপাদন করতে পারবে না। তার ঔরসে সন্তানের জন্ম হবে না। যার জন্ম হয়েছে পুরুষ হিসেবে, শত অস্ত্রোপচার করা হলেও সে সন্তান জন্ম দিতে পারবে না।

তাহলে এই ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’ বলে আসলে কী বোঝানো হয়? এ ধরনের সার্জারিতে আসলে কী করা হয়?

একদম সোজাসাপ্টাভাবে বললে, একজন পুরুষের ক্ষেত্রে ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’ সার্জারির মানে হলো অপারেশন করে তার বুকে কৃত্রিম ‘স্তন’ বসানো, তার অণ্ডকোষ ফেলে দেওয়া, পুরুষাঙ্গ কেটে উল্টে (invert) দিয়ে দু’ পায়ের মাঝখানে একটা ছিদ্র তৈরি করা।

নারীদের ক্ষেত্রে ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’ এর অর্থ হলো, তার স্তন কেটে বাদ দেওয়া, শরীর থেকে জরায়ু এবং গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য অংশ কেটে ফেলে দেওয়া, তারপর হাতের কবজি কিংবা পা থেকে কিছু পেশী নিয়ে কৃত্রিমভাবে একটি ‘পুরুষাঙ্গ’ তৈরি করা।

যারা আগ্রহী তারা নিচের দুটো ভিডিও দেখতে পারেন। ভিডিও দুটিতে থ্রিডি মডেলিংয়ের মাধ্যমে ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’ অপারেশনের ঠিক কী করা হয় তা দেখানো হয়েছে। তবে আগেই সতর্ক করে দিচ্ছি, ভিডিওগুলো দেখা অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে।

‘পুরুষের লিঙ্গ পরিবর্তন’-

‘নারীর লিঙ্গ পরিবর্তন’-

মনে রাখবেন এই কৃত্রিম যোনী এবং কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ কোনোটাই সত্যিকারের অঙ্গের মতো কাজ করে না। প্রজননের ক্ষেত্রে তো না-ই না, যৌনতার ক্ষেত্রেও না। কথাটা সহজে, একটু স্থূলভাবে যদি বলি, পাঠাকে খাসি করলে সেটা মাদী ছাগী হয় না। সে তখন বাচ্চা দিতে পারে না, দুধ দিতে পারে না। জায়গামতো ‘ছিদ্র’ করে দিলেও পারে না।

তথাকথিত ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি দিক আছে আর তা হলো হরমোন ট্রিটমেন্ট। পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান হরমোন হলো টেস্টোসটেরন। এই হরমোনের প্রভাবেই বয়ঃসন্ধির সময় পুরুষের কন্ঠ ভারী হয়, দাড়ি গজায়, শরীরে লোম গজায়, মাংসপেশী ও হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে। এ হরমোন পুরুষ দেহে তৈরি হয় স্বাভাবিকভাবে। পুরুষদের রাগ, আগ্রাসী মনোভাব এবং ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতার পেছনেও জোরালো ভূমিকা রাখে এই হরমোন। এসব কারণে দেখবেন অনেক ক্রীড়াবিদ ও বডিবিল্ডার পারফরমেন্স বাড়ানোর জন্য এবং শরীরকে আরো মাংসল, আরো পেশীবহুল করার জন্য টেস্টোসটেরন ব্যবহার করে থাকেন।

অন্যদিকে নারীত্বের জন্য দায়ী প্রধান হরমোন হলো ইস্ট্রোজেন। বয়ঃসন্ধির সময়ে নারীদেহে আসা পরিবর্তনগুলোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই হরমোন। ইস্ট্রোজেনের কারণে নারী দেহে চর্বির পরিমাণ বেশি হয়, শরীরের কাঠামো কমনীয় এবং নারীসুলভ হয়।

তথাকথিত ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’–এর সময় পুরুষদের ইস্ট্রোজেন এবং নারীদের টেস্টোসটেরন দেওয়া হয় উচ্চ পরিমাণে। অর্থাৎ তাদের দেহে বিপরীত লিঙ্গের হরমোন ঢোকানো হয়। টেস্টোসটেরনের প্রভাবে নারীদের কন্ঠ ভারী হয়ে আসে, চুল পড়তে শুরু করে, দাড়ি গজায় এবং শরীরের কমনীয়তা কমে পেশী কিছুটা বাড়ে। অন্যদিকে ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে পুরুষের কন্ঠ চিকন হয়ে আসে, শরীরে চর্বি বাড়ে (বিশেষ করে বুকে ও কোমরে) এবং সার্বিকভাবে তার অবয়ব পুরুষের তুলনায় গোলগাল হতে শুরু করে।

কিন্তু যতো হরমোনই দেওয়া হোক না কেন, এতে করে একজন পুরুষ নারী হয় না। একজন নারী পরিণত হয় না পুরুষে। এতে করে কেবল বাহ্যিক কিছু পরিবর্তন আসে। সেই সাথে তৈরি হয় নানা ধরনের শারীরিক জটিলতাও। পশ্চিমা বিশ্বে নিজেদের ট্র্যান্সজেন্ডার বলে দাবি করা লোকদের বড় একটা অংশই হরমোন ট্রিটমেন্ট এবং সার্জারি করে না। ট্র্যান্সজেন্ডার দাবিদারদের মধ্যে অর্ধেকের মতো হরমোন ট্রিটমেন্ট নেয়। আর লিঙ্গ পরিবর্তন সার্জারি করায় ২৫% এর মতো।[4]

অন্যদিকে অপারেশন করে ‘রূপান্তরিত’ হওয়া মানুষদের মধ্যে অনেকে ভুল বুঝতে পেরে যেতে চাইছে আগের অবস্থায়। কিন্তু ফেরার পথ যে নিজেই বন্ধ করে দিয়েছে তারা। তাই বাড়ছে হতাশাগ্রস্থতা, আত্মহত্যার প্রবণতা।

কেন কিছু মানুষ নিজেদের বিপরীত লিঙ্গের বলে দাবি করে?

মোটাদাগে এর পেছনে দুটো কারণ আছে,

  • মানসিক অসুস্থতা
  • যৌন বিকৃতি

মানসিক অসুস্থতা: কিছু মানুষ এক ধরনের মানসিক রোগে ভোগে যার ফলে তাদের মনে হয় তারা ‘ভুল দেহে আটকা পড়েছে’। এ ধরনের মানুষ একটা বয়সে গিয়ে; সাধারণত বয়ঃসন্ধির সময়, নিজের শরীর ও আচরণ নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করে। তারা মনে করতে শুরু করে যে তাদের শরীর যদি বিপরীত লিঙ্গের মতো হতো, তাহলে এ অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতো তারা। এ রোগকে আগে জেন্ডার আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার (Gender Identity Disorder) বলা হতো। বর্তমানে এটাকে বলা হচ্ছে জেন্ডার ডিসফোরিয়া (Gender Dysphoria। যাদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় সাধারণত তাদের মধ্যে ডিপ্রেশনসহ অন্যান্য আরো অনেক মানসিক সমস্যা থাকে। এছাড়া এ ধরনের মানুষের অনেকে শৈশবে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়, যা নিজ শরীর ও যৌনতা নিয়ে তাদের চিন্তায় নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে আসে।

যৌন বিকৃতি: নিজেদের নারী দাবি করা পুরুষদের বড় একটা অংশ এই কাজটা করে যৌন আনন্দের জন্য। এই পুরুষরা নিজেকে নারী হিসেবে চিন্তা করে, নারীর পোশাক পরে, নিজেদের নারী হিসেবে উপস্থাপন করে যৌন আনন্দ লাভ করে। এটা এক ধরনের যৌন বিকৃতি, যার একটা জবরজং নাম আছে, অটোগাইনেফিলিয়া (Autogynephillia)। শাব্দিকভাবে এর অর্থ ‘নিজেকে নারী হিসেবে কামনা করা’।[5]

অটোগাইনেফিলিয়া বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে। কেউ হয়তো খোলামেলা পোশাকের নারী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়, কেউ হয়তো নারীসুলভ দেহকাঠামো চায়, কেউ হয়তো নারীসুলভ আচরণ করতে চায়, আবার কেউ হয়তো যৌনকর্ম করতে চায় নারী হিসেবে।

অটোগাইনেফিলিয়া থাকা পুরুষদের সবাই সমকামী হয় না, এদের একটা অংশ নারীদের প্রতি আকর্ষণবোধ করে। এ ধরনের অটোগাইনেফাইল হলো এমন পুরুষ যে নারীদেহ ভালোবাসে এবং সে তার ভালোবাসার বস্তুতে পরিণত হতে চায়।

এ বিকৃতি অনেকটা নারীত্ব নিয়ে এক ধরনের ফ্যান্টাসির মতো। এ বিকৃতিতে ভোগা পুরুষেরা নারীত্বের একটা ক্যারিক্যাচার তৈরি করে। লক্ষ্য করে দেখবেন আপনি এমন কোনো পুরুষ পাবেন না যে একটা মধ্যবয়েসী, সাদামাটা পোশাক পরা, উগ্র মেকাপের ফর্মূলা এড়িয়ে চলা তিন বাচ্চার মায়ের মতো শরীর চায়। বরং তারা হতে চায় হাই হিল, প্রকট মেকাপ, বিশাল বক্ষ, উগ্র পোশাকের এমন এক নারীর মতো যার সাথে দৈনন্দিন জীবনের নারীর তেমন একটা মিল নেই। কাল্পনিক এই নারীর অস্তিত্ব আছে পর্নোগ্রাফির জগতে। নিজেদের নারী দাবি করা পুরুষদের বড় একটা অংশের মধ্যে অটোগাইনেফিলিয়া নামের এই বিকৃতি আছে। 

সামাজিক প্রভাব: নিজেকে ট্র্যান্সজেন্ডার বলে দাবি করা মানুষের সংখ্যা বাড়ার আরেকটা কারণ এ ব্যাপারে পশ্চিমা সমাজের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। বয়ঃসন্ধি অনেকের জন্যই একটা জটিল সময়। এসময় মানুষের মধ্যে কাজ করে নানা ধরনের বিভ্রান্তি আর আবেগ। আবেগতাড়িত হয়ে, খেয়ালের বশে মানুষ এসময় অনেক সিদ্ধান্ত নেয়। তার এ সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করে শিক্ষা, সংস্কৃতি, মিডিয়া এবং তার পারিপার্শ্বিকতা।

আজ পশ্চিমা বিশ্বে অবাধ যৌনতার সবক দেওয়া শুরু হচ্ছে স্কুল থেকে। আধুনিক পৃথিবীতে পর্নোগ্রাফি সহজলভ্য, যৌনতা চারপাশে। তারা দেখছে দু’জন পুরুষ ‘বিয়ে’ করতে পারে, দু’জন নারী ‘বিয়ে’ করতে পারে। এটা তাদের দেশের আইনে বৈধ। একে দিব্যি স্বাভাবিক বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রাইমারী স্কুল থেকে শিশুদের শেখানো হচ্ছে আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে ট্র্যান্সজেন্ডারবাদের অবস্থান। মিডিয়াতে বারবার বলা হচ্ছে ট্র্যান্সজেন্ডার হওয়া খারাপ কিছু না, বরং  ট্র্যান্সজেন্ডাররা বিশেষ ধরনের মানুষ। সমাজে তাদের আলাদা দাম আছে। রীতিমতো মগজধোলাই করা হচ্ছে তাদের। এছাড়া অনেক শিশু ছোটবেলায় যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। অনেকে কৈশোরেই জড়িয়ে যাচ্ছে মাদকের সাথে।

এ সবকিছু প্রভাব ফেলছে তাদের মনোজগতে। এসব স্রোতের টানে কৈশোরের নাজুক সময়টাতে অনেকেই নিজেকে ট্র্যান্সজেন্ডার বলছে।

সবগুলো পর্ব

পরের পর্ব


[1] বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, Why Sex is Binary - https://www.youtube.com/watch?v=XN2-YEgUMg0

[2] Sax, Leonard. "How common is lntersex? A response to Anne Fausto‐Sterling." Journal of sex research 39, no. 3 (2002): 174-178.

[3] বিস্তারিত, Is Intersex a Third Sex?, https://www.theparadoxinstitute.com/watch/is-intersex-a-third-sex?rq=intersex

[4] Cf. J. Herman et al., “2015 U.S. Transgender Survey,” National Center for Transgender Equality, 99,100.

Cf. I. Nolan et al., “Demographic and Temporal Trends in Transgender Identities and Gender Confirming Surgery,” Translational Andrology and Urology, 8:3 (June 2019).

[5] James Shupe, “I Was America’s First ‘Nonbinary’ Person. It Was All a Sham,” Daily Signal (March 10, 2019), https://www.dailysignal.com/2019/03/10/i-was-americas-first-non-binary-person-it-was-all-a-sham/.

love of oneself as a woman.”

Ray Blanchard, “Gender Identity Disorders in Adult Men,” in Clinical Management of Gender Identity Disorders in Children and Adults, ed. Ray Blanchard and B.V. Steiner (Washington, D.C.: American Psychiatric Publishing, 1990): 49–75.