ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তীনের মুসলিমদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে অবৈধ রাষ্ট্র ইস্রাইল। বিশেষ করে ২০২৩-এর অক্টোবর থেকে চালানো নির্মম হত্যাযজ্ঞ সমগ্র বিশ্ববাসীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম মাসজিদ, প্রিয় আল-আকসার কাছেই  নারী ও শিশুদের পাইকারি খুন, নির্যাতন চালাচ্ছে তারা। ঠান্ডা মাথায় শিশুদের ঠেলে দিচ্ছে অনাহারে মৃত্যুর দিকে। এই গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো বিভিন্ন পশ্চিমা রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল, মিডিয়া এবং বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলো আবির্ভূত হয়েছে গণহত্যার সহায়তাকারী আর কৈফিয়তদাতা হিসেবে।

এই গণহত্যা, এই জঘন্য অপরাধ আমরা চোখ বুজে সহ্য করতে পারি না। এখনই সময় ফিলিস্তীনের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আর এর অন্যতম কার্যকর উপায় হল সেইসব কোম্পানিকে বর্জন করা যারা ইস্রাইল দখলদারিত্ব তথা যায়োনবাদকে[1] সমর্থন করে। এবং সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে কোকাকোলা।

সম্প্রতি বাংলাদেশে কোকাকোলা একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এই বিজ্ঞাপনে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যের সাথে কোকাকোলার পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়েছে। অপমান করা হয়েছে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিমদের বিচার বিবেচনাবোধকে। সময় এসেছে সর্বাত্মকভাবে কোকাকোলাকে বর্জন করার।


[1] যায়োনবাদ হল ঐ মতবাদ এবং রাজনৈতিক আন্দোলন যার ভিত্তিতে মুসলিমদের ভূমি জবরদখল করে দখলদার ইস্রাইলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

কেন কোকাকোলা বর্জন করবেন?

  • কোকাকোলা বহু দশক যাবত যায়োনবাদের সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক।
  • দখল করা ভূমিতে ফ্যাক্টরি বানিয়েছে কোকাকোলা। এ কারণে ১৯৬৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত আরব লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে কোকাকোলা বয়কট করেছিল
  • ইস্রাইলি দখলদারিত্ব ও অবৈধ স্থাপনা থেকে মুনাফা করার কারণে কোকাকোলা-কে কালো তালিকাভুক করেছে খোদ জাতিসঙ্ঘ।[1]
  • কোকাকোলার সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার ওয়ারেন বাফেট। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী যায়োনবাদীদের অন্যতম। নিজের বিপুল অর্থ ব্যবহার করে সে নানাভাবে ইস্রাইলেকে সমর্থন দিয়ে আসছে।[2]
  • ১৯৬৬ সাল থেকে  টানা কয়েক দশক অর্থনৈতিকভাবে ইস্রাইলকে সমর্থন যুগিয়ে আসার কারণে ১৯৯৭ সালে ইস্রাইল সরকার এর ইকোনমিক মিশন কোকাকোলা-কে সম্মাননা প্রদান করে।[3]
  • আমেরিকান-ইস্রাইল চেম্বার অফ কমার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান, ইস্রাইলি অর্থনীতিতে সর্বাধিক অবদান রাখা কোম্পানিগুলিকে সম্মানিত ও পুরস্কৃত করে। এসব পুরস্কারের অর্থায়ন করে কোকাকোলা।[4]
  • অ্যাইপ্যাক (AIPAC)-কে মনে করা হয় আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী লবি।[5] গবেষকদের মতে, অ্যামেরিকার পররাষ্ট্রনীতি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক নীতিকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রন করে এই প্রতিষ্ঠান। অ্যামেরিকার প্রধান দুই দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদেরও ওপর ব্যাপক প্রভাব অ্যাইপ্যাকের। সোজা বাংলায় অ্যাইপ্যাক হল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী যায়োনবাদী প্রতিষ্ঠান। এই অ্যাইপ্যাকের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে কোকাকোলার। ২০০৯ সালে ইস্রাইল গাযাতে আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর সময় জাতিসঙ্ঘ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছিল। অ্যাইপ্যাক-এর সুপারিশ আর লবিয়িং এর ফলে মার্কিন সেনেট জাতিসঙ্ঘের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে। ইস্রাইলে সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রাখার পক্ষে অবদান রাখার জন্য অ্যাইপ্যাক-কে পুরস্কার দেয়া হয়। আর সেই পুরস্কারের অর্থায়ন করে কোকাকোলা।[6]
  • ২০০৯ সালে, ইস্রাইলি সামরিক বাহিনীর সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, এবং ইস্রাইলের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিন ইয়ামিন বেন-ইলিযারকে তাদের সদর দপ্তরে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করে কোকাকোলা। এই লোকের তত্ত্ববধানে সংঘটিত হয় জেনিন গণহত্যা, যেখানে নির্বিচারে খুন করা  হয় অসংখ্য ফিলিস্তীনি নারীশিশু ও বৃদ্বকে।[7]

ইস্রাইলের সমর্থনে কোকের এমন অপকর্মের তালিকা অনেক দীর্ঘ। যে রাজনৈতিক মতবাদ ও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মুসলিমদের ভূমি দখল করে ইস্রাইল রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে, কয়েক দশক ধরে সেই মতবাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে কোকাকোলা। এসব কারনে সারা বিশ্ব জুড়ে  যায়োনবাদের সমর্থক হিসেবে কোকাকোলাকে বয়কট করা হয়। ফিলিস্তীনের পক্ষে আন্তর্জাতিকভাবে ‘বিডিএস’ (Boycott, Divest, Sanction) নামে যে বয়কট আন্দোলন চলছে, তারা বহু বছর যাবত কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিয়ে আসছে।[8]               

অনেকে হয়তো বলবে কোকাকোলা সরাসরি ইস্রাইল সরকারের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী নয়। কিন্তু ইস্রাইলকে অব্যাহতভাবে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে ইস্রাইলি দখলদারিত্ব ও গণহত্যার সুযোগ করে দিচ্ছে কোকাকোলা। কোকাকোলা চাইলেই আর্থিক ও রাজনৈতিক সহায়তা প্রদান বন্ধ করে ইস্রাইলকে চাপ দিতে পারত। কিন্তু এমন কোন কিছু গত আট মাস দূরে থাক, গতো সত্তর বছরেও ঘটেনি।

কোকাকোলা-কে বয়কট করতে হবে কারণ,

  • কোকাকোলা অর্থনৈতিকভাবে ইস্রাইল রাষ্ট্রকে সহায়তা করে আসছে
  • অ্যাইপ্যাকের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে যায়োনবাদকে শক্তিশালী করছে।
  • এবং, ফিলিস্তীনের উপর ইস্রাইলে সামরিক আগ্রাসনকে পুরস্কৃত করছে   

কোকাকোলা গণহত্যার সহযোগী, এবং  দখলদারিত্ব থেকে মুনাফা অর্জনকারী

সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপন:

সম্প্রতি বাংলাদেশে কোকাকোলা একটি প্রোপাগান্ডামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। এই বিজ্ঞাপনে বড় গলায় বলা হয়েছে ফিলিস্তীনে নাকি কোকাকোলার ফ্যাক্টরি আছে। কিন্তু ইস্রাইলের দখল করা ভূমিতে ফ্যাক্টরি বানিয়ে কোকাকোলা যে মুসলিমদের রক্ত আর লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মুনাফা করে আসছে – এ কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে সুকৌশলে।

কোকাকোলার সামনে সুযোগ ছিল ইস্রাইলি আগ্রাসন আর গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার, কিন্তু তারা উল্টো পথ ধরেছে। যারা ইস্রাইলি গণহত্যার বিরোধিতার কারণে কোকাকোলা বর্জন করেছেন, তাদেরকে এ বিজ্ঞাপনে চিত্রিত করা হয়েছে অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে। যেন তারা কোন কিছু না বুঝে, না শুনেই এমন করছেন। কোকাকোলা বর্জন করাকে ‘আকাশকুসুম’ বলে সরাসরি বর্জনকারীদের বিবেক, বুদ্ধি ও বিবেচনাবোধকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। দাম্ভিকতায় পরিপূর্ণ এই বিজ্ঞাপন কোকাকোলার চরম ঔদ্ধত্য, এবং সমস্ত মুসলিম উম্মাহ; বিশেষ করে বাংলার মুসলিম কওমের প্রতি তাদের জঘন্য তাচ্ছিল্যের মনোভাবের প্রকাশ

বয়কট করে কী লাভ?

উপমহাদেশের ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলন থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী বয়কট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলন– বিভিন্ন সময়ে অসহযোগ ও বয়কট আন্দোলন সামাজিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনে সফল হয়েছে। বয়কটে যদি কাজ না-ই হতো, তাহলে বয়কট আন্দোলনকে অবৈধ ঘোষণার জন্য ইস্রাইল আমেরিকার সাথে লবিং করত না।[9] সর্বোপরি বয়কট করে যে লাভ হয় কোকের বিজ্ঞাপন তারই প্রমান। সাম্প্রতিক এই বিজ্ঞাপন থেকেও বোঝা যায়, বয়কট তাদেরকে বেশ চাপে ফেলেছে।  

বয়কটের ফলে কোকাকোলা-

১/ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ইস্রাইলি দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখা ও গণহত্যায় সাহায্য করার ব্যাপারে পুনরায় চিন্তা করতে বাধ্য হবে। আরব বিশ্বে বয়কটের কারনে আরেক যায়োনবাদের সমর্থক প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ডস গাযার জন্য বিপুল অর্থ অনুদান হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও বাস্তবতা হল এই অর্থ অনুদান না, বরং দখলদারিত্বকে সমর্থন যোগানোর ক্ষতিপূরণ।   

২/ বয়কটের মাধ্যমে ইস্রাইলি আগ্রাসন তথা যায়নবাদকে সমর্থন যোগানো অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেশন ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠবে।

৩ / বয়কটের আর কোনো প্রভাব দেখা না গেলেও মানুষ হিসেবে, মুসলিম হিসেবে এই যুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং শক্ত অবস্থান নেয়া আমাদের দায়িত্ব। কোকাকোলা বয়কটের মাধ্যমে আর কিছু না হোক, আমরা সামাজিকভাবে ফিলিস্তীনের মুসলিমদের সাথে সংহতি, এবং ইস্রাইল রাষ্ট্রের প্রতি বিরোধিতার বার্তা পাঠাতে পারি। আমরা এই কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে পারি যে, বাংলার মানুষ কখনোই ইস্রাইলকে মেনে নেবে না।

ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব

আমরা মনে করি, ইস্রাইলি আগ্রাসন তথা যায়নবাদের সক্রিয় সমর্থক কোকাকোলা-কে বয়কট মুসলিমদের ঈমানী দায়িত্ব। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন,

তরজমাঃ‘নিশ্চিত জেনো, এই তোমাদের উম্মাহ, এক উম্মাহ (তাওহীদের উম্মাহ) এবং আমি তোমাদের রব। সুতরাং, আমার ইবাদত কর।  [সূরা আল-আম্বিয়া, ৯২]

রাসূলুল্লাহ ﷺ  বলেছেন, 

পারস্পরিক সম্প্রীতি, দয়া ও মায়া-মমতার দিক দিয়ে মুমিনদের দৃষ্টান্ত একটি দেহের মত। দেহের কোন অঙ্গ যখন পীড়িত হয়, তখন সারা দেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।’ [বুখারি ও মুসলিম]

গাযা, রাফাহ, পশ্চিম তীরের মুসলিমরা আমাদেরই ভাইবোন। আজ তাদের তিলে তিলে হত্যা করা হচ্ছে, অথচ আমরা কিছুই করতে পারছি না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

“তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় দেখবে সে যেন তা তার হাত দিয়ে বাধা দেয় আর যদি হাত দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন মুখ দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি মুখ দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন অন্তর দিয়ে বাধা দেয়, আর এটি হলো দুর্বল ঈমানের পরিচয়।” [বুখারি ও মুসলিম]

কোকাকোলা বয়কট করাকে আমরা মুখে প্রতিবাদের অংশ ধরতে পারি।  এই বিশাল নিষ্ঠুরতার মুখে এটাই আমাদের সর্বনিম্ন দায়িত্ব

আসুন এই ঈদে কোক বর্জন করি

ঈদ; বিশেষ করে কুরবানীর ঈদ কোকাকোলার মতো কোম্পানিগুলোর ব্যবসার মৌসুম। এই ঈদ একটা মোক্ষম সুযোগ গাযার শিশুর খুনীদের সহায়তাকারীদের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছানোর। তাই আসুন এই ঈদে আমরা কোকাকোলা কোম্পানীর সকল পণ্য বর্জন করি। তাদের উল্লেখযোগ্য পণ্যের মধ্যে আছে – কোক, স্প্রাইট, ফান্টা, কিনলে (মিনারেল ওয়াটার)

এছাড়া আরেক কোমল পানীয় কোম্পানি পেপসি-ও যায়নবাদের ঘোরতর সমর্থক। তাদের পণ্যের মাঝে রয়েছে- পেপসি, সেভেন আপ, মিরিন্ডা ও অ্যাকুয়াফিনা (মিনারেল ওয়াটার)। এই সবগুলো পণ্য এই ঈদে বর্জন করা আমাদের ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব। যদি কোমল পানীয় পান করতেই হয়, তাহলে এর দেশীয় বিকল্প রয়েছে। সেগুলো কিনুন।

আর বিকল্প যদি না-ও থাকে, তবু এই ঈদে সফট ড্রিংকস না খেলে কী হবে? কী হবে কোক পেপসি না থেয়ে থাকলে? গাযায় আমাদের ভাইবোনেরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে। মা সন্তানের লাশ পাচ্ছে না, রাতে ঘুমের মধ্যে তাদের ওপর বোমা ফেলা হচ্ছে, তবু তারা ঈমানের সাক্ষ্য দিচ্ছেন, আল-আকসা মসজিদকে মুক্ত করার কথা বলছে। তাদের ব্যাপারে আমাদের কি কোন দায়িত্ব নেই? গাযার শিশুরা যখন খাবার আর পানির অভাবে ধুকে ধুকে মরছে, যখন ইস্রাইলি বোমার আঘাতে তাদের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয় যাচ্ছে, তখন আমরা সামান্য কোকের টান ছাড়তে পারবো না?

এই দায় নিয়ে কিভাবে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমরা দাড়াবো? গাযার শিশুরা যদি আমাদের প্রশ্ন করে, কী জবাব দেবো আমরা? আমাদের ঈমানের ওজন কী এক গ্লাস কোকের চেয়ে কম হয়ে গেছে?

যারা আমাদের ভাইবোনকে এক ফোঁটা পানি খেতে দিচ্ছে না, যারা তাদের রক্ত প্রবাহিত করছে নির্বিচারে, তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য সামান্য কোক যদি আমরা ছাড়তে না পারি, তাহলে আমরা নিজেদের মুসলিম বলে কিভাবে পরিচয় দেই? মনুষ্যত্বের আর কী আমাদের মধ্যে বাকি থাকে?

আসুন আমরা এখনই শপথ করি!

  • আমরা আর কোকাকোলা-এর কোনো পণ্য কিনবোনা  
  • আত্বীয়স্বজন, পরিবার বন্ধু বান্ধব সবাইকে কোকাকোলার পণ্য বয়কটের কাজে শরীক করব
  • ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও গণহত্যায় কোকাকোলার  জড়িত থাকার ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করব। 
  • এই লিফলেটটি এবং কোকাকোলার অপরাধ সম্পকে অন্যান্য সকল তথ্য ছড়িয়ে দেব যেখানে যেভাবে সম্ভব।
  • ইস্রাইলি আগ্রাসন এবং গণহত্যা বন্ধ করার দাবিতে সম্ভব হলে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেব।
  •  গাযার মুসলিমদের  প্রতি সংহতি প্রদর্শন করব

জনসচেতনতা বয়কটের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

একা আমি বয়কট করে কী হবে, এমন চিন্তা শয়তানের ফাঁদ। ইতিহাস জুড়ে ছে যুলুমের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের সম্মিলিত ছোটো ছোটো পদক্ষেপই বিশাল অবদান রেখেছে। এবং মহান আল্লাহই উত্তম প্রতিদান দানকারী।

ইন শা আল্লাহ, একসাথে আমরাই পারি পরিবর্তন আনতে


[1] https://tinyurl.com/4ub82cwx

[2] https://tinyurl.com/58z9nuxh, https://tinyurl.com/bdd62pt6

[3] http://www.bham.net/shofar/1997/0697/nbriefs.html, http://www.inminds.co.uk/boycott-coca-cola.html#r48  

[4] http://web.archive.org/web/19971222015026/http://aiccse.org/board.htm, http://www.aiccse.org/About/LeadershipBoardofDirectors.aspx Source Snapshot, http://aiccse.wordpress.com/2009/10/

[5] AIPAC এর পূর্ণ রূপ The American Israel Public Affairs Committee (অ্যম

[6] The Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, John Mearsheimer and Stephen Walt,

https://tinyurl.com/594yh9rc  https://tinyurl.com/57n2xntu

[7] https://tinyurl.com/44fwdmw9

[8] https://tinyurl.com/37mvx5ty

https://tinyurl.com/3xx7v7pp

[9] https://www.hrw.org/news/2019/04/23/us-states-use-anti-boycott-laws-punish-responsible-businesses